পাসপোর্ট হারিয়ে গেলে কত টাকা তুলতে খরচ লাগে

পাসপোর্ট হারিয়ে গেলে কত টাকা তুলতে খরচ লাগেঃ পাসপোর্ট হলো একজন নাগরিকের আন্তর্জাতিক ভ্রমণের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি সরকারি দলিল। এটি ব্যক্তির পরিচয়, নাগরিকত্ব এবং ভ্রমণগত বৈধতা নিশ্চিত করে। বিশ্বের যেকোনো দেশে ভ্রমণের সময় পাসপোর্ট অপরিহার্য, এবং এটি ছাড়া কোনো দেশের সীমান্ত পার হওয়া সম্ভব নয়। শুধু তাই নয়, প্রবাসে অবস্থানকালে আইনগতভাবে পরিচয় প্রমাণের অন্যতম মাধ্যমও হলো এই পাসপোর্ট।

কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, অনেক সময় অসাবধানতা বা অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতিতে আমাদের এই গুরুত্বপূর্ণ দলিলটি হারিয়ে যেতে পারে। কখনও ভ্রমণের সময়, কখনও ব্যাগ বা ডকুমেন্ট ফোল্ডারে রেখে ভুলে যাওয়া, আবার কখনও চুরি হয়ে যাওয়া — এমন অনেক কারণেই পাসপোর্ট হারানোর ঘটনা ঘটে। পাসপোর্ট হারালে একজন নাগরিকের ভ্রমণ, প্রবাসে অবস্থান কিংবা দেশে ফিরে আসার ক্ষেত্রে নানা সমস্যা দেখা দেয়।

তবে আশার কথা হলো, পাসপোর্ট হারিয়ে গেলেও তা পুনঃপ্রাপ্তির জন্য নির্ধারিত নিয়ম ও প্রক্রিয়া রয়েছে। এ ক্ষেত্রে নির্ধারিত ফি প্রদান করে নতুন পাসপোর্ট বা ডুপ্লিকেট পাসপোর্ট সংগ্রহ করা যায়। বাংলাদেশে পাসপোর্ট হারালে কীভাবে নতুন পাসপোর্টের আবেদন করতে হয় এবং এর জন্য কত টাকা খরচ হয়, সেই বিষয়ে সঠিক তথ্য জানা অত্যন্ত জরুরি। কারণ ফি নির্ভর করে পাসপোর্টের ধরন, মেয়াদ এবং দ্রুততার ভিত্তিতে। এই লেখায় আমরা পাসপোর্ট সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত ধারণার পাশাপাশি পাসপোর্ট হারালে করণীয় এবং কত টাকা ফি দিতে হবে — সে বিষয়টিও বিস্তারিত জানার চেষ্টা করব।

হারিয়ে যাওয়া পাসপোর্ট রি-ইস্যুর আবেদন দাখিলের নিয়ম

পাসপোর্ট হারিয়ে গেলে একজন নাগরিকের জন্য এটি অনেক বড় একটি সমস্যা। কারণ পাসপোর্ট ছাড়া দেশের বাইরে ভ্রমণ করা কিংবা প্রবাসে অবস্থান করা সম্ভব নয়। তবে বাংলাদেশ সরকার এই সমস্যার জন্য নির্ধারিত একটি সহজ ও কার্যকর প্রক্রিয়া রেখেছে, যার মাধ্যমে হারানো পাসপোর্টের বদলে নতুন পাসপোর্ট বা রি-ইস্যু করা যায়। প্রথমে নিকটস্থ থানায় গিয়ে হারানো পাসপোর্টের বিষয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করতে হবে। এই জিডি হারানোর স্থান, তারিখ এবং পাসপোর্ট নম্বরসহ বিস্তারিত উল্লেখ করে করতে হয়।

এরপর বাংলাদেশ ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট (https://www.passport.gov.bd) এ গিয়ে অনলাইনে এমআরপি (মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট) আবেদন ফরম পূরণ করতে হবে। আবেদনপত্র পূরণ শেষে তা ডাউনলোড করে প্রিন্ট করতে হবে এবং নির্ধারিত স্থানে স্বাক্ষর করতে হবে। এরপর পাসপোর্ট হারানোর জিডির কপি, পুরাতন পাসপোর্টের ফটোকপি (যদি থাকে), জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি, জন্মনিবন্ধন সনদ (প্রযোজ্য হলে), এবং নির্ধারিত ফি জমার রসিদসহ প্রয়োজনীয় সব কাগজপত্র আবেদনপত্রের সঙ্গে সংযুক্ত করতে হবে। তারপর নির্ধারিত পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে ছবি তোলা, আঙ্গুলের ছাপ (বায়োমেট্রিক) এবং স্বাক্ষর দিতে হবে।

পাসপোর্ট হারানোর ক্ষেত্রে সাধারণভাবে নতুন পাসপোর্টের ফি ছাড়াও অতিরিক্ত জরিমানা পরিশোধ করতে হতে পারে। আবেদনপত্র জমা দেয়ার পর নির্ধারিত সময়ে নতুন পাসপোর্ট প্রস্তুত হলে সেটি সংগ্রহ করা যাবে। তবে বিদেশে অবস্থানরত ব্যক্তিদের জন্য নিকটস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস বা হাইকমিশনে যোগাযোগ করে একইভাবে রি-ইস্যু আবেদন করতে হয়। সবশেষে বলা যায়, পাসপোর্ট হারালে ঘাবড়ে না গিয়ে দ্রুত এই নিয়ম মেনে আবেদন করলেই সমস্যার দ্রুত সমাধান সম্ভব।

পাসপোর্ট হারিয়ে গেলে কী করণীয়?

পাসপোর্ট হারিয়ে গেলে প্রথমেই আতঙ্কিত না হয়ে শান্ত থাকা উচিত। এরপর দ্রুত নিকটস্থ থানায় গিয়ে হারানোর বিষয়টি উল্লেখ করে একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করতে হবে। এই জিডিতে হারানোর স্থান, তারিখ এবং পাসপোর্ট নম্বর উল্লেখ করা প্রয়োজন। থানার পক্ষ থেকে একটি জিডি নম্বর ও কপি প্রদান করা হবে, যা পরবর্তী আবেদন প্রক্রিয়ায় কাজে লাগবে।

এরপর বাংলাদেশ ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে অনলাইনে এমআরপি আবেদন ফরম পূরণ করতে হবে। ফরম পূরণের পর নির্ধারিত ফি ও জরিমানা পরিশোধ করে আবেদনপত্র প্রিন্ট করে স্বাক্ষর করতে হবে। আবেদনের সঙ্গে জিডির কপি, জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি, জন্মনিবন্ধন সনদ (যদি প্রয়োজন হয়) এবং পুরাতন পাসপোর্টের ফটোকপি (যদি থাকে) সংযুক্ত করতে হবে।

এরপর নির্ধারিত পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে ছবি তোলা, আঙ্গুলের ছাপ এবং স্বাক্ষর দিতে হবে। আবেদন জমা দেয়ার পর নির্ধারিত সময়ে নতুন পাসপোর্ট সংগ্রহ করতে হবে। আর যদি বিদেশে অবস্থানরত অবস্থায় পাসপোর্ট হারিয়ে যায়, সেক্ষেত্রে নিকটস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস বা হাইকমিশনে যোগাযোগ করে একইভাবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।

কত তাড়াতাড়ি হারিয়ে যাওয়া পাসপোর্ট ফিরে পাওয়া যায়?

পাসপোর্ট হারিয়ে গেলে নতুন পাসপোর্ট বা রি-ইস্যু করা পাসপোর্ট পেতে সাধারণত নির্ধারিত সময় লাগে। বাংলাদেশে হারানো পাসপোর্টের আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার পর তিন ধরনের ডেলিভারি ব্যবস্থা আছে। সাধারণ ডেলিভারিতে প্রায় ২১ কর্মদিবস, অগ্রাধিকারে ১০ কর্মদিবস এবং জরুরিতে ২-৭ কর্মদিবসের মধ্যে পাসপোর্ট পাওয়া যায়।

তবে বিশেষ ক্ষেত্রে, যেমন প্রয়োজনীয় কাগজপত্রে সমস্যা, তথ্য যাচাই বা পুলিশ ভেরিফিকেশনে জটিলতা হলে সময় কিছুটা বেশি লাগতে পারে। আর বিদেশে অবস্থানরত হলে, দূতাবাসের নিয়ম অনুযায়ী সময় নির্ধারণ হয় এবং সেটা দেশভেদে ভিন্ন হতে পারে। তাই দ্রুত পাসপোর্ট পেতে হলে সব কাগজপত্র ঠিকঠাক করে নির্ধারিত ফি এবং জরিমানা পরিশোধ করে দ্রুত আবেদন জমা দেওয়া উচিত।

পাসপোর্ট অ্যাপয়েন্টমেন্ট বাতিল করলে কি টাকা ফেরত পাওয়া যাবে?

পাসপোর্টের জন্য অনলাইনে আবেদন জমা দিয়ে যখন নির্ধারিত তারিখে অ্যাপয়েন্টমেন্ট নেওয়া হয়, তখন আবেদনকারী নির্ধারিত ফি ব্যাংকের মাধ্যমে বা অনলাইনে পরিশোধ করেন। কিন্তু কোনো কারণে যদি সেই অ্যাপয়েন্টমেন্ট বাতিল করতে হয় বা আবেদনকারী নির্ধারিত তারিখে উপস্থিত হতে না পারেন, সেক্ষেত্রে পরিশোধ করা ফি ফেরত পাওয়া যায় না।

কারণ একবার ফি জমা দেওয়ার পর সেটি সরকারি কোষাগারে চলে যায় এবং তা আর ফেরত দেয়ার কোনো নিয়ম নেই। এমনকি কেউ ভুল করে ফি বেশি দিয়ে ফেললেও বা আবেদন বাতিল করলেও সেই টাকা ফেরত পাওয়া সম্ভব নয়। এ ক্ষেত্রে আবেদনকারী চাইলে আগের জমা দেওয়া ফি-র প্রাপ্তি রসিদসহ নতুন করে নির্ধারিত তারিখে আবার আবেদনপত্র দাখিল করতে পারেন।

তবে অনেক সময় জরুরি প্রয়োজনে আবেদন বাতিল করে নতুন অ্যাপয়েন্টমেন্ট নেওয়ার সুযোগ থাকলেও, ফি ফেরতের কোনো সুযোগ বাংলাদেশ ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের নীতিমালায় রাখা হয়নি। তাই পাসপোর্টের জন্য ফি পরিশোধ এবং অ্যাপয়েন্টমেন্ট নেওয়ার আগে অবশ্যই সবদিক যাচাই করে সাবধানতার সঙ্গে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত, যেন টাকা এবং সময় দুটোই নষ্ট না হয়। বিশেষ করে জরুরি ভিত্তিতে আবেদন করলে ফি অনেক বেশি হয়, তাই অ্যাপয়েন্টমেন্ট বাতিল করার আগে বিষয়টি ভেবে নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।

পাসপোর্ট হারিয়ে গেলে নতুন পাসপোর্ট কিভাবে বানাবো

পাসপোর্ট হারিয়ে গেলে প্রথমেই ঘাবড়ে না গিয়ে দ্রুত করণীয় কাজগুলো সম্পন্ন করা উচিত। সবচেয়ে আগে নিকটবর্তী থানায় গিয়ে পাসপোর্ট হারানোর বিষয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করতে হবে। সেই জিডিতে পাসপোর্টের নম্বর, হারানোর স্থান ও সময় উল্লেখ করতে হবে। জিডি সম্পন্ন করার পর বাংলাদেশ ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে (www.passport.gov.bd) গিয়ে অনলাইনে নতুন পাসপোর্টের জন্য এমআরপি আবেদন ফরম পূরণ করতে হবে।

অনলাইনে আবেদনপত্র পূরণ শেষে সেটি প্রিন্ট করে স্বাক্ষর করতে হবে। এরপর আবেদনপত্রের সঙ্গে জিডির কপি, জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি, জন্মনিবন্ধন সনদের কপি (যদি প্রয়োজন হয়), পুরাতন পাসপোর্টের ফটোকপি (যদি থাকে) এবং নির্ধারিত ফি জমার রসিদ সংযুক্ত করতে হবে। এরপর নিকটস্থ পাসপোর্ট অফিসে নির্ধারিত দিনে গিয়ে ছবি তোলা, আঙ্গুলের ছাপ (বায়োমেট্রিক) এবং স্বাক্ষর দিতে হবে।

আবেদনের ধরণ অনুযায়ী সাধারণ, অগ্রাধিকার বা জরুরি ফি প্রদান করে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নতুন পাসপোর্ট সংগ্রহ করতে হবে। কেউ যদি বিদেশে অবস্থান করেন, তবে সেই দেশের বাংলাদেশ দূতাবাস বা হাইকমিশনের মাধ্যমে একই নিয়মে আবেদন করতে পারবেন। সবশেষে বলা যায়, পাসপোর্ট হারিয়ে গেলেও নির্ধারিত নিয়ম ও প্রক্রিয়া অনুসরণ করলে সহজেই নতুন পাসপোর্ট বানানো সম্ভব।

পাসপোর্ট হারিয়ে গেলে জিডি করার নিয়ম

পাসপোর্ট হারিয়ে গেলে সবার আগে নিকটস্থ থানায় গিয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করতে হবে। কারণ এটি পরবর্তী নতুন পাসপোর্ট বানানোর প্রক্রিয়ায় একটি বাধ্যতামূলক কাগজ। জিডি করতে থানায় গেলে ডিউটি অফিসারকে জানাতে হবে যে, আপনার পাসপোর্ট হারিয়ে গেছে এবং আপনি একটি সাধারণ ডায়েরি করতে চান।

এরপর থানার কর্তব্যরত অফিসার একটি জিডি ফরম দেবেন বা মৌখিকভাবে তথ্য নিয়ে জিডি লেখবেন। সেখানে পাসপোর্টের নম্বর, ইস্যুর তারিখ, হারানোর স্থান ও সময়, নিজের নাম, ঠিকানা, জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর ইত্যাদি সঠিকভাবে উল্লেখ করতে হবে। হারানোর ঘটনা সংক্ষেপে উল্লেখ করতে হবে, যেমন — “আমি অমুক তারিখে অমুক স্থানে যাওয়ার সময় আমার পাসপোর্ট হারিয়ে ফেলি”। সব তথ্য ঠিকঠাক দিয়ে জিডি প্রস্তুত হলে অফিসার সেটি রেজিস্টার করবেন এবং একটি জিডি নম্বরসহ কপি প্রদান করবেন।

এই জিডির মূল কপি বা সত্যায়িত কপি পরবর্তী নতুন পাসপোর্টের আবেদনপত্রের সঙ্গে সংযুক্ত করতে হবে। কেউ চাইলে অনলাইনে থানার মাধ্যমে প্রাথমিক তথ্য দিয়ে জিডির আবেদন করতে পারেন, তবে সেটির জন্যও থানায় গিয়ে চূড়ান্ত কপি সংগ্রহ করা বাধ্যতামূলক। তাই পাসপোর্ট হারালে দেরি না করে দ্রুত জিডি করা উচিত, কারণ এটি সরকারিভাবে পাসপোর্ট হারানোর প্রমাণপত্র হিসেবে কাজ করে।

পাসপোর্ট হারিয়ে গেলে কত টাকা তুলতে খরচ লাগে

যদি পাসপোর্ট হারিয়ে যায়, তাহলে নতুন পাসপোর্ট করার জন্য কিছু নির্দিষ্ট খরচ রয়েছে। সাধারণত, পাসপোর্ট পুনর্নির্মাণের জন্য আবেদন ফি দিতে হয়, যা নির্ভর করে পাসপোর্টের ধরন ও প্রকারের উপর। প্রথমত, সাধারণ বা মার্সিডিস পাসপোর্টের জন্য আবেদন ফি প্রায় ৪,০০০ থেকে ৬,০০০ টাকার মধ্যে হয়ে থাকে। তবে, যদি আপনি জরুরি ভিত্তিতে পাসপোর্ট প্রাপ্তির জন্য আবেদন করেন, তখন অতিরিক্ত জরুরি ফি লাগতে পারে, যা ২,০০০ থেকে ৩,০০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে।

এছাড়াও, যদি পাসপোর্ট হারানোর কারণে থানায় অভিযোগ দায়ের করতে হয়, তাহলে পুলিশের কাছেও কিছু টাকা খরচ হতে পারে, যদিও অনেক সময় পুলিশের অভিযোগের জন্য আলাদা কোনো ফি নেই। এর সাথে আরও কিছু প্রয়োজনীয় খরচ হতে পারে যেমন প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের কপি তৈরি করা, ছবি তোলা, ইত্যাদি।

এছাড়াও, কিছু অতিরিক্ত খরচ যেমন ফটোকপি, পোস্টাল ফি, এবং ডেলিভারি চার্জও থাকতে পারে। মোট খরচটি প্রায় ৮,০০০ থেকে ১০,০০০ টাকার মধ্যে হতে পারে, তবে এটি ভিন্ন ভিন্ন পরিস্থিতি অনুযায়ী পরিবর্তিত হতে পারে।

পাসপোর্ট রি ইস্যু ফি কত

পাসপোর্ট রি-ইস্যু (পুনঃপ্রকাশ) ফি সাধারণত পাসপোর্টের ধরন এবং ভ্যালিডিটির উপর নির্ভর করে। সাধারণত, পাসপোর্ট রি-ইস্যুর জন্য ফি দুই ধরনের হয়ে থাকে:

  1. ৫ বছর মেয়াদি পাসপোর্ট (সাধারণ পাসপোর্ট):

    • ফি: প্রায় ৪,৭০০ থেকে ৫,২০০ টাকা (যতটা নির্ভর করে সংশ্লিষ্ট দেশের নিয়মের উপর)।

  2. ১০ বছর মেয়াদি পাসপোর্ট (সাধারণ পাসপোর্ট):

    • ফি: প্রায় ৭,০০০ থেকে ৮,০০০ টাকা (সংশ্লিষ্ট দেশের নিয়ম অনুযায়ী পরিবর্তিত হতে পারে)।

এছাড়া, যদি রি-ইস্যু জরুরি ভিত্তিতে করতে হয়, তবে অতিরিক্ত জরুরি ফি লাগতে পারে, যা ১,০০০ থেকে ২,০০০ টাকার মধ্যে হতে পারে।

এটি অবশ্যই উল্লেখ্য যে, পাসপোর্ট রি-ইস্যু করার জন্য নির্দিষ্ট কিছু কাগজপত্র যেমন, পুরানো পাসপোর্ট, আবেদন ফরম, ছবি, এবং জাতীয় পরিচয়পত্র/ভোটার আইডি/জন্ম নিবন্ধন সনদ ইত্যাদি প্রয়োজন।

এখানে আপনার প্রশ্নগুলোকে মাথায় রেখে ২০টি FAQ তৈরি করা হলো, যাতে পাসপোর্ট হারানো, রি-ইস্যু এবং রিনিউ সম্পর্কিত তথ্য সহজে পাওয়া যায়:


পাসপোর্ট হারিয়ে গেলে করণীয় ২০২৪

প্রশ্ন: পাসপোর্ট হারিয়ে গেলে কী করতে হবে?
উত্তর: পাসপোর্ট হারিয়ে গেলে প্রথমে আপনার কাছাকাছি থানায় জিডি (জন্মনিবন্ধন) করতে হবে। এরপর পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে হারানো পাসপোর্টের জন্য একটি রিপোর্ট করতে হবে এবং নতুন পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে হবে।

পাসপোর্ট হারিয়ে গেলে নতুন পাসপোর্ট কিভাবে বানাবো

প্রশ্ন: পাসপোর্ট হারিয়ে গেলে নতুন পাসপোর্ট কিভাবে বানাবো?
উত্তর: নতুন পাসপোর্ট তৈরি করতে প্রথমে থানায় জিডি করতে হবে। তারপর পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে আবেদন করতে হবে এবং হারানো পাসপোর্টের সমস্ত তথ্য জমা দিতে হবে।

পাসপোর্ট রিনিউ করার ফি ২০২৪

প্রশ্ন: পাসপোর্ট রিনিউ করার ফি কত?
উত্তর: ২০২৪ সালের জন্য ৫ বছরের পাসপোর্টের রিনিউ ফি প্রায় ৪,৭০০ থেকে ৫,২০০ টাকা, এবং ১০ বছরের পাসপোর্টের রিনিউ ফি ৭,০০০ থেকে ৮,০০০ টাকা হতে পারে।

পাসপোর্ট রি ইস্যু ফি

প্রশ্ন: পাসপোর্ট রি-ইস্যু করার ফি কত?
উত্তর: পাসপোর্ট রি-ইস্যুর জন্য ৫ বছরের পাসপোর্টের জন্য ৪,৭০০ থেকে ৫,২০০ টাকা এবং ১০ বছরের পাসপোর্টের জন্য ৭,০০০ থেকে ৮,০০০ টাকা ফি দিতে হয়।

মেয়াদ উত্তীর্ণ পাসপোর্ট হারিয়ে গেলে

প্রশ্ন: মেয়াদ উত্তীর্ণ পাসপোর্ট হারিয়ে গেলে কী করতে হবে?
উত্তর: মেয়াদ উত্তীর্ণ পাসপোর্ট হারিয়ে গেলে প্রথমে থানায় জিডি করতে হবে এবং তারপর নতুন পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে হবে। মেয়াদ উত্তীর্ণ পাসপোর্টের জন্য সাধারণ পাসপোর্ট রি-ইস্যু আবেদন করতে হবে।

পাসপোর্ট রি ইস্যু করার নিয়ম

প্রশ্ন: পাসপোর্ট রি-ইস্যু করার নিয়ম কী?
উত্তর: পাসপোর্ট রি-ইস্যু করতে আপনার পুরানো পাসপোর্ট, থানার জিডি রিপোর্ট, আবেদন ফর্ম এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পাসপোর্ট অফিসে জমা দিতে হবে। ফি পরিশোধের পর, প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।

পাসপোর্ট হারিয়ে গেলে জিডি করার নিয়ম

প্রশ্ন: পাসপোর্ট হারিয়ে গেলে জিডি কিভাবে করতে হয়?
উত্তর: পাসপোর্ট হারানোর পর, আপনাকে থানায় গিয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) লিখতে হবে, যেখানে পাসপোর্ট হারানোর তারিখ, সময় এবং অন্যান্য বিস্তারিত তথ্য উল্লেখ করতে হবে।

পাসপোর্ট হারানো জিডি ফরম

প্রশ্ন: পাসপোর্ট হারানোর জিডি ফরম কোথায় পাওয়া যাবে?
উত্তর: পাসপোর্ট হারানোর জিডি ফরম স্থানীয় থানায় পাওয়া যায়। থানায় গিয়ে ফরম পূরণ করে অভিযোগ দায়ের করতে হবে।


আরও ১২টি FAQ:

প্রশ্ন: পাসপোর্ট হারানো জিডির পর কি ফি দিতে হয়?
উত্তর: জিডি করার জন্য সাধারণত কোনো ফি নেই, তবে কিছু থানায় পুলিশ প্রতিবেদন তৈরির জন্য একটি ছোট ফি নেওয়া হতে পারে।

প্রশ্ন: পাসপোর্ট হারানো হলে কি পুরানো পাসপোর্টের কপি লাগবে?
উত্তর: হ্যাঁ, পুরানো পাসপোর্টের কপি থাকা অত্যন্ত সহায়ক, তবে এটি হারিয়ে গেলে ফটোকপি বা অন্য কোনো প্রমাণ সাপেক্ষে নতুন পাসপোর্ট আবেদন করা যাবে।

প্রশ্ন: পাসপোর্ট হারিয়ে গেলে কীভাবে অস্থায়ী ভ্রমণ ডকুমেন্ট পেতে পারি?
উত্তর: অস্থায়ী ভ্রমণ ডকুমেন্ট পাওয়ার জন্য পাসপোর্ট অফিসে যোগাযোগ করতে হবে। এটি জরুরি পরিস্থিতিতে এবং বিশেষ অনুমতির জন্য পাওয়া যায়।

প্রশ্ন: পাসপোর্ট রি-ইস্যু করার জন্য কত দিন সময় লাগে?
উত্তর: সাধারণত, পাসপোর্ট রি-ইস্যু করতে ৭-১৪ কার্যদিবস সময় লাগে।

প্রশ্ন: পাসপোর্ট হারানোর পর কি পুলিশ তদন্ত করবে?
উত্তর: সাধারণত, পুলিশ পাসপোর্ট হারানোর তদন্ত শুরু করে না, তবে জিডি রেকর্ড করার জন্য পুলিশ তথ্য সংগ্রহ করতে পারে।

প্রশ্ন: পাসপোর্ট রি-ইস্যু করলে কি নতুন পাসপোর্টের মেয়াদ আবার শুরু হবে?
উত্তর: হ্যাঁ, রি-ইস্যু করা পাসপোর্টের নতুন মেয়াদ শুরু হয় এবং এটি আগের পাসপোর্টের মেয়াদ থেকে আলাদা হবে।

প্রশ্ন: পাসপোর্ট হারানোর কারণে কি বিদেশ যাওয়া সম্ভব হবে?
উত্তর: পাসপোর্ট হারানোর পর নতুন পাসপোর্ট পেলে, আপনি বিদেশে যেতে পারবেন, তবে তার জন্য কিছু সময় প্রয়োজন।

প্রশ্ন: পাসপোর্ট হারানোর পর কি ডেমেজ ফি বা জরিমানা দিতে হয়?
উত্তর: সাধারণত, পাসপোর্ট হারানোর জন্য কোনো জরিমানা বা ডেমেজ ফি নেই, তবে ফি পরিশোধের সময় কিছু অতিরিক্ত খরচ হতে পারে।

প্রশ্ন: পাসপোর্ট হারানোর পর আবেদনকারী কীভাবে তার আগের তথ্য পুনরুদ্ধার করতে পারে?
উত্তর: পাসপোর্ট হারানোর পর আগের তথ্য পুনরুদ্ধার করতে আবেদনকারীকে পাসপোর্ট অফিসে জানাতে হবে এবং সংশ্লিষ্ট নথি বা রেকর্ড প্রদান করতে হবে।

প্রশ্ন: পাসপোর্ট হারানোর পর কি কাউকে জানাতে হবে?
উত্তর: পাসপোর্ট হারানোর পর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এবং পুলিশকে জানানো উচিত, যাতে হারানো পাসপোর্ট ব্যবহার না করা হয়।

প্রশ্ন: পাসপোর্ট হারানো জিডি করা হলে কি জরিমানা হয়?
উত্তর: সাধারণত, জিডি করার জন্য কোনো জরিমানা বা ফি নেই, তবে কিছু থানায় ছোটখাটো ফি নেওয়া হতে পারে।

প্রশ্ন: পাসপোর্ট হারানোর জন্য কী ধরনের কাগজপত্র লাগবে?
উত্তর: পাসপোর্ট হারানোর জন্য থানায় জিডি রিপোর্ট, পুরানো পাসপোর্ট (যদি থাকে), আবেদন ফর্ম এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পাসপোর্ট অফিসে জমা দিতে হবে।

 

Leave a Comment